Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Title
Grievance Redress
Details

১। মালিকের নিকট আবেদন : লে-অফ, ছাঁটাই, ডিসচার্জ, বরখাস্ত, অপসারণ অথবা অন্য যে কোন কারণে চাকুরীর অবসান হইয়াছে এরূপ শ্রমিকসহ যে কোন শ্রমিকের, নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলীর কোন বিষয় সম্পর্কে যদি কোন অভিযোগ থাকে তবে প্রতিকার পাইবার লক্ষ্যে সংক্ষুব্ধ শ্রমিক মালিকের নিকট অভিযোগপত্র / গ্রিভেন্স লেটার প্রেরণ করিবেন। মালিক শ্রম আইনের ধারা ৩৩ অনুযায়ী অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের শুনানী গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত জানাইবেন। শ্রম আইনের ধারা ৩৩ এর বিধান নিন্মরূপ— 

ধারা ৩৩ : অভিযোগ পদ্ধতি

(১) লে-অফ, ছাঁটাই, ডিসচার্জ, বরখাস্ত, অপসারণ অথবা অন্য যে কোন কারণে চাকুরীর অবসান হইয়াছে এরূপ শ্রমিকসহ যে কোন শ্রমিকের, নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলীর কোন বিষয় সম্পর্কে যদি কোন অভিযোগ থাকে এবং যদি তিনি তত্সম্পর্কে এই ধারার অধীন প্রতিকার পাইতে ইচ্ছুক হন তাহা হইলে তিনি, অভিযোগের কারণ অবহিত হওয়ার তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে অভিযোগটি লিখিত আকারে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে মালিকের নিকট প্রেরণ করিবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, যদি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি সরাসরি গ্রহণ করিয়া লিখিতভাবে প্রাপ্তি স্বীকার করেন, সেই ক্ষেত্রে উক্ত অভিযোগটি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে না পাঠাইলেও চলিবে৷

(২) মালিক অভিযোগ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করিবেন এবং সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে শুনানীর সুযোগ দিয়া তত্সম্পর্কে তাহার সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে শ্রমিককে জানাইবেন৷

(৩) যদি মালিক উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হন, অথবা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক যদি উক্তরূপ সিদ্ধান্তে অসন্তষ্ট হন, তাহা হইলে তিনি উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ার তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে অথবা, ক্ষেত্রমত, মালিকের সিদ্ধান্তের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে লিখিতভাবে অভিযোগ পেশ করিতে পারিবেন৷

(৪) শ্রম আদালত অভিযোগ প্রাপ্তির পর উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করিয়া অভিযোগটি সম্পর্কে তাহাদের বক্তব্য শ্রবণ করিবে এবং উহার বিবেচনায় মামলার অবস্থাধীনে যেরূপ আদেশ দেওয়া ন্যায়সঙ্গত সেরূপ আদেশ প্রদান করিবে৷

(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ দ্বারা আদালত, অন্যান্য প্রতিকারের মধ্যে, অভিযোগকারীকে, বকেয়া মজুরীসহ বা ছাড়া, তাহার চাকুরীতে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দিতে পারিবে এবং কোন বরখাস্ত, অপসারণ বা ডিসচার্জের আদেশকে ধারা ২৩(২) এ উল্লিখিত কোন লঘুদণ্ডে পরিবর্তিত করিতে পারিবে৷

(৬) শ্রম আদালতের কোন আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তি আদেশের ত্রিশ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের নিকট আপীল দায়ের করিতে পারিবেন, এবং এই আপীলের উপর উহার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷

(৭) এই ধারার অধীন কোন অভিযোগ বা আপীল দায়েরের জন্য কোন কোর্ট-ফিস প্রদেয় হইবে না৷

(৮) এই ধারার অধীন কোন অভিযোগ এই আইনের অধীন কোন ফৌজদারী অভিযোগ বলিয়া গণ্য হইবে না৷

(৯) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ২৬ এর অধীন প্রদত্ত চাকুরীর অবসানের আদেশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করা যাইবে না, যদি না অবসানের আদেশটি সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে অথবা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রদত্ত হইয়াছে বলিয়া অভিযোগ করা হয়, অথবা যদি না তিনি উক্ত ধারার অধীন প্রাপ্য সুবিধা হইতে বঞ্চিত হন৷

২। সরকারি দপ্তরে অনুযোগ : মজুরি সংক্রান্ত কোন বিষয়ে ধারা ২৩ এর উপ-ধারা ২ এর অধীন শুনানীর ৩০ দিনের মধ্যে সন্তোষজনক প্রতিকার না পেলে সংক্ষুব্ধ শ্রমিক কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এর নিকটস্থ কার্যালয়ে লিখিতভাবে অনুযোগ জানাতে পারেন। অনুযোগপত্রে সংক্ষুব্ধ শ্রমিকের নাম, ঠিকানা ও পূর্ণ বিবরণ সহ যে মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার নাম, ঠিকানা ও পূর্ণ বিবরণ, চাকরিতে যোগদানে তারিখ, পদবি, সর্বশেষ মজুরি, সর্বশেষ কর্মদিবস (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) উল্লেখ থাকিবে। অনুযোগপত্রের সাথে যেসকল কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে তার তালিকা—

(ক) ১ম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মালিকের নিকট প্রেরিত অভিযোগপত্র / গ্রিভেন্স লেটার এর ফটোকপি;

(খ) নিয়োগপত্রের ফটোকপি;

(গ) পরিচয়পত্রের ফটোকপি;

(ঘ) মজুরি স্লিপ এর ফটোকপি;

(ঙ) ইত্যাদি। 

গ্রিভেন্স লেটারের প্রেক্ষিতে মালিক কি সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন এবং বর্তমানে কি প্রতিকার প্রত্যাশা করেন তা অনুযোগপত্রে উল্লেখ থাকিবে। অনুযোগপত্র পাওয়ার পর শ্রম আইনের ধারা ১২৪ক এর বিধান অনুসরণ করে অনুযোগ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এছাড়াও, শ্রম পরিদর্শক প্রয়োজনবোধে বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ এর ৩৫১ এর বিধান অনুসরণ করে অনুসন্ধান ও তদন্তপূর্বক ফরম ১৪ অনুযায়ী শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন। ধারা ১২৪ক এর বিধান নিন্মরূপ—    

ধারা ১২৪ক : আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে মজুরী সহ অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ

(১) কর্মরত থাকা বা অবসরে যাওয়া বা চাকুরীর অবসান বা বরখাস্তাধীন থাকা ইত্যাদিসহ চাকুরীর যে কোন পর্যায়ে কোন শ্রমিকের বা শ্রমিকদের মজুরীসহ আইনত প্রাপ্য পাওনাদি আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে পাওয়ার জন্য প্রধান পরিদর্শক বা প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট আবেদন করা যাইবে।

(২) এইরূপ আবেদন পাওয়ার পর প্রধান পরিদর্শক বা প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ২০ দিনের মধ্যে উত্থাপিত দাবী নিস্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট মালিক বা কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা কিংবা আপোষ মীমাংসা বৈঠকের মাধ্যমে নিস্পত্তি করিবার কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন।

(৩) এই ধারার অধীনে উত্থাপিত দাবী নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রধান পরিদর্শক বা প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উদ্যোগ গ্রহণ এবং আলাপ-আলোচনা কিংবা আপোষ মীমাংসার বৈঠকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করিবেন।

(৪) এইরূপ আলাপ-আলোচনা অথবা আপোষ মীমাংসা বৈঠকের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত পক্ষদের জন্য প্রতিপালন করা বাধ্যতামূলক হইবে।

(৫) এই ধারার অধীনে অনুষ্ঠিত আলাপ-আলোচনা কিংবা আপোষ মীমাংসা বৈঠকে মধ্যস্থতাকারীর সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে উভয় পক্ষকে প্রদান করিতে হইবে।

(৬) শ্রমিক ও মালিক যে কোন পক্ষ বা উভয় পক্ষ এই ধারার অধীনে আপোষ-মীমাংসা বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীর আপোষ মীমাংসা কার্যক্রম সমাপ্তির পর তাহার সিদ্ধান্ত প্রতিপালনে কোন পক্ষ বা উভয় পক্ষ সম্মত না হইলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ বা উভয় পক্ষ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালতে মামলা করিতে পারিবেন এবং শ্রম আদালত এইরূপ মামলার বিচারকালে মধ্যস্থতাকারীর সিদ্ধান্ত বিবেচনায় নিবেন।

৩। শ্রম আদালতে মামলা দায়ের : মধ্যস্থতাকারী শ্রম পরিদর্শকের আইন সিদ্ধ সিদ্ধান্ত মালিক পরিপালনে ব্যর্থ হলে শ্রম বিধিমালার ফরম ১৪ অথবা ফরম ৪৪, অথবা ফরম ৪৪ক পূরণ করে শ্রম আদালতে দাখিল করা হলে উহা মাননীয় আদালত কতৃক মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হবে এবং আইনগত কার্যধারা চলবে। শ্রম পরিদর্শক ফরম ১৪ অথবা ৪৪খ অনুযায়ী মাননীয় শ্রম আদালতে অভিযোগ পেশ করিতে পারিবেন। অভিযোগপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্রাদি দাখিল আবশ্যক।     

৪। আপীল : শ্রম আদালতের কোন আদেশ কোন পক্ষ অসন্তুষ্ট হলে শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালে আপীল দায়ের করিতে পারিবেন। আপীল দায়ের করার ফরম নম্বর ৬৬। আপীল আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্রাদি দাখিল আবশ্যক। 

৫। শ্রমিক হেল্পলাইনে অভিযোগ : শ্রমিক ইচ্ছা করলে শ্রমিক সহায়তা কেন্দ্র, ঢাকা তে ১৬৩৫৭ (টোল ফ্রি) নম্বরে ফোন করে মজুরি সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও অতিরিক্ত কর্মঘন্টা, আইনানুগ ছুটি মঞ্জুর না করা, প্রসূতি সুবিধা না দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে পরিচয় গোপন করে অভিযোগ জানাতে পারেন।

৬। আইন সহায়তা কেন্দ্রে অভিযোগ : শ্রম আদালতে মামলা করার পূর্বে শ্রমিক ইচ্ছা করলে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা / জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার / শ্রমিক আইন সহায়তা কেন্দ্রের সহায়তা নিতে পারেন। লিগ্যাল এইড জাতীয় হেল্পলাইন ১৬৪৩০


Attachment